Homeচাকরির প্রস্তুতিচাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন ও সিলেবাস কিভাবে তৈরি করবেন?

চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন ও সিলেবাস কিভাবে তৈরি করবেন?

এই পোস্টে আপনি বাংলাদেশের জব সার্কুলার ও চাকরির প্রস্তুতির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনাদের বেশ কিছু প্রশ্ন আছে যেমন কিভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিতে হয়? একাডেমিক পড়াশোনা চলা অবস্থায় চাকরির জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হয়?, নাকি গ্রেজুয়েশন করার পর। কিভাবে চাকরির পড়াশোনা শুরু করতে হয়? চাকরির জন্য কোন সিলেবাস গুলো পড়তে হয়? উপরের সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমাদের আজকের এই পোসইট এর মাধ্যমে সকল তথ্য দেওয়ার চেস্টা করবো।

সাধারনত আমাদের দেশের ছাত্ররা গ্রেজুয়েশন শেষ করার পর চাকরির জন্য চেষ্টা করে থাকে। তবে অনার্স ৩য় বা ৪র্থ বর্ষ থাকাকালীন থেকে চাকরির প্রস্তুতি গ্রহন করা করা উচিত। তখন থেকেই চাকরির ২/১ টা বই কিনে পড়া শুরু করতে হবে। বিশেষ করে সাধারনজ্ঞান এর বই গুলো বেশি বেশি পড়া শুরু করতে হবে। এর জন্য কারেন্ট এফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড অন্যান্য মাসিক বা সাপ্তাহিক সাময়িকি পড়তে পারেন।

কিভাবে চাকরির লেখাপড়া শুরু করতে পারেন?

চাকরির লেখাপড়া শুরুর প্রথমক্ষেত্রে সাধারন গণিত, ইংরেজি ও সাধারনজ্ঞান বই কিনে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করতে হবে। যদি সম্ভব হয় কোন চাকরির কোচিং এ ভর্তি হতে পারেন। কোচিং করা ছাড়াও চাকরি পাওয়া সম্ভব।

চাকরির প্রস্তিুতির রুটিন:

প্রথমে চাকরির পড়াশোনা করার জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। কোন কোন সময় চাকরির জন্য পড়বেন তা সময় নিার্ধারন করতে হবে। সেই সময়ে শুধু চাকরির জন্যই পরতে হবে। অন্য কোন কাজ করা যাবে না। ধীরে ধীরে রুটিন এ চাকরির পড়ার সময় বাড়াতে হবে।

চাকরির পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নের সমাধান:

পড়াশোনা শুরুর সাথে সাথে প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। যদি প্রশ্নের সমাধান করেন তাহলে এতে চাকরির পরীক্ষার দক্ষতা বাড়ে এবং আপনিও বুঝতে পারবেন চাকরির জন্য আপনি কতটুক প্রস্তুত। তাই বিগত বছরের চাকরির প্রশ্ন গুলো সমাধান নিয়মিত করতে হবে।

মক টেস্ট:

মক টেস্ট হলো পরীক্ষার আগে যাচাই পরীক্ষা। এর মাধ্যমে আপনি যাচাই করতে পারবেন আপনি চাকরির পরীক্ষার জন্য কতটুক প্রস্তুত। আপনাকে আর কতটুক প্রস্তুতি নিতে হবে। কোন বিষয়ে আপনি দুর্বল, কোন দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে । মকটেস্ট সহজেই যে কোন চাকরির কোচিং এ পেয়ে যাবেন এছাড়া অনলাইন এ অনেক ওয়েবসাইটে মকটেস্ট এর সুযোগ রয়েছে

পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন:

আপনি ছোট বা বড় যতই চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিবেন আপনার চাকরির পরীক্ষা নিয়ে দক্ষতা বাড়বে। আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা বাড়বে, চাকরির পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে ধারনা আসবে। পরীক্ষায় টাইম ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হয় তা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার মাধ্যমেই আয়ত করা যায়।

চাকরির জন্য কোন সিলেবাস অনুসরন করবেন?

চাকরির সিলেবাস
১. বাংলা – বাংলারজন্য class 9-10 এরবাংলাগ্রামারবা MP3 জর্জসিরিজের বাংলা দেখতে পারেন। ব্যাকরণেরঅংশটাভালোকরে পড়ুন।
২. ইংলিশ – Competitive Exam বা Master ইংলিশ বইটা দেখতে পারেন। বিগত সালের বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ভালো করে পড়ুন।
৩. সাধারণ গণিত ও মানসিক দক্ষতা – এর জন্য বেসিক ম্যাথ গুলো ভালো করে দেখুন।
৪. সাধারণজ্ঞান – রিসেন্ট যে কোন সাধারণজ্ঞান এর বই পড়তে থাকুন, বিস্তারিত পড়ার জন্য যেকোন একটি বই ফলো করুন আজকের বিশ্ববা MP3 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক।
৫. সাধারণবিজ্ঞান – বাজারের যেকোন একটি বই এর বেসিক অংশটুকু পড়ুন। ও রাকলবা MP3 বিজ্ঞান।
৬. আইসিটি – এটা গুরুত্বপূর্ণ ও সহজেই মার্ক পাওয়া যায়, এর জন্য আপনি “self suggestion কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ” বইটির প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে “অটোসাজেশন” ফিচারটি ওজ বসল্যুশনফিচার এই দুটি ভালো করে পড়ুন, সর্বোচ্চ কমন পাবেন এইবই থেকে।

চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা:

প্রায় সব চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ধাপ একই। নিচে সেই ধাপ গুলো উল্লেখ করা হলোঃ

  1. প্রিলিমিনারি বাবাছাই পরীক্ষা।
  2. লিখিত পরীক্ষা।
  3. মৌখিক পরীক্ষা।
  4. মেডিকেল টেস্ট।

এই পোস্টিতে আলোচনা করা হয়েছে চাকরি পাওয়ার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতি। আপনি যদি নিজের রুটিন মত ও সিলেবাস সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি খুব শীগ্রই চাকরি পেয়ে যাবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular